স্বদেশ ডেস্ক:
পাবনার সুজানগর উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের ফুলালদুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা রায়হান আলীর মেয়ে সুমা খাতুনের (১৫) সঙ্গে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার ডেমরা গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার ছেলে মনিরুল ইসলামের বিয়ের দিন ছিল গতকাল বুধবার। বিয়ে পড়াতে আসেন তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজী ও সুজানগর উপজেলা কাজী সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন খান। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের খাবারের পর বিয়ে পড়ানোর কথা ছিল তার। খাওয়া-দাওয়া তো হলো ঠিকই, কিন্তু বিয়ে পড়াতে পারেননি কাজি। ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করলে বর পাবনার ফরিদপুর উপজেলার ডেমরা গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার ছেলে মনিরুল ইসলাম, তার পরিবার ও কনে পক্ষের পরিবারসহ সবাই পালিয়ে যায়। একা ধরা পড়ে যান কাজি জাহাঙ্গীর হোসেন খান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রওশন আলী পরিচালিত এ অভিযানে কাজি জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রওশন আলীর আদালত কাজির বিয়ে রেজিস্ট্রির বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করেন। জাহাঙ্গীর নিজের অপরাধ স্বীকার করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরে তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুদ্দোজা জানান, সাজাপ্রাপ্ত কাজীকে গ্রেপ্তারের করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ইউএনও রওশন আলী বলেন, ‘ইউনিয়নের কাজী বাল্যবিয়ে পড়ানো অপরাধ জেনেও বিবাহ নিবন্ধন কাজ করছিলেন। সুজানগর উপজেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত করতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’